বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ড.কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম
আবার আপন ঘরে ফিরছেন একসময়ের বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ড.কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রম। বর্তমানে এই নেতা ব্যাংকক থেকে গতকালের বিএনপির গণঅনশনে পূর্ণ সমর্থন জানালেও দেশে ফিরে বিএনপিতে ফেরার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশের এই প্রবীণ রাজনৈতিক বর্তমানে থাইল্যান্ডে অবস্থান করলেও গতকাল বুধবার ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির গণঅনশন কর্মসূচিতে তিনি একাত্মতা প্রকাশ করতে তাঁর দলের সিনিয়র নেতাদের বিএনপির অনশন কর্মসূচিতে পাঠিয়েছেন।
সরকার বিরোধী কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে আবার বিএনপিতে ফিরে যাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে ব্যাংকক থেকে ড. কর্নেল (অবঃ) অলি আহমদ দৈনিক উষ্ণআলোকে জানান-এটা সময়ের ব্যাপার। সময়ই বলে দেবে। আমি আগামীকাল দেশে ফিরে আসার পর সিদ্ধান্ত হবে। আমরা তো গণতান্ত্রিক দল, সবার সাথে বসে দিসীশান নিতে হবে। আমি একা কিছু করবো না।
বিএনপির কোন নেতা যোগাযোগ করেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন-তিনদিন আগে আমার সাথে বিএনপির এক সিনিয়র নেতার কথা হয়েছিল। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করবো।
এ ব্যাপারে এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম জানান-দলের প্রেসিডেন্টের সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সাদেক হোসেন খোকা কথা বলেছেন। তারা কথা বলার পর আমাদেরকে গতকালের অনশনে যেতে বলেছেন। আমরা বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা অনশনে গিয়েছি। বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাথে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এদিকে ব্যাংকক থেকে কর্নেল অলি আহমদ আরো জানান-সরকার নিজেই দেশের সকল বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য বাধ্য করছে। এই সরকারের শত্রু এই সরকার নিজেই। এই মুহূর্তে আমাদের আর বসে থাকার উপায় নেই। সরকার বিরোধী তিনটি ইস্যুতে বিএনপির সাথে আমাদের মিল রয়েছে-বিরোধী দলের চীফ হুইপ জয়নাল আবদীন ফারুকের ওপর পুলিশের হামলা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল এবং হরতালে মোবাইল কোর্ট নামানোর ব্যাপারে।
বর্তমান সরকারকে সমর্থন দেয়ার পর আবার সরকার বিরোধী আন্দোলন কেন জানতে চাইলে কর্নেল অলি জানান-বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সাথে নির্বাচনের আগে আমার বৈঠক হয়েছিল। তারা আমাদেরকে কয়েকটি সিট ছেড়ে দেবে বলেছিল। কিন্তু দেয় নি।
তাছাড়া সংসদ এলাকায় একজন এমপিকে পুলিশ যেভাবে লাঠি পেটা করেছে তা সারা পৃথিবীর কাছে বাংলাদেশকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। এই লাঠি পেটা শুধু ফারুককে করা হয় নি, আমাকে ও করা হয়েছে ,সকল নির্বাচিত সাংসদকে করা হয়েছে।
সরকারি দলের একজন এমপি হত্যা করে ধরা ছুয়ার বাইরে আর বিরুধী দলের ফারুককে পুলিশ যেভাবে লাঠি পেটা করেছে আর তারকে মামলা দেয়া হয়েছে ।
বিএনপির গণঅনশনে সংহতি জানিয়ে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার বিরোধী আন্দোলনে থাকার ঘোষণা দেওয়ার পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবার নতুন মেরুকরণ শুরু হয়েছে। এলডিপির শীর্ষ নেতারাও আশাবাদী তারা আবার পুরনো ঘরে ফিরবেন। এটি এখন সময়ের ব্যাপার। যে কোন সময় এই চমক ঘটতে পারে।
বলার অপেক্কা রাখে না ঃ ২০০৬ সালের অক্টোবরে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অলি আহমেদের নেতৃত্বে রেদোয়ান আহমেদ, আলমগীর কবির, জাহানারা বেগমসহ ১২ জন সংসদ সদস্য দল থেকে পদত্যাগ করে এলডিপি গঠন করেন।