লাইসেন্স দেওয়া যায় কারণ, তারা সিগনাল চেনে, গরু-ছাগল চেনে।


অশিক্ষিত চালকদেরও লাইসেন্স দেওয়া দরকার

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘বাস্তবতা হলো দেশে চালকের মহাসংকট আছে। আর এই বাস্তবতার ভিত্তিতে অশিক্ষিত চালকদেরও লাইসেন্স দেওয়া দরকার। কারণ, তারা সিগনাল চেনে, গরু-ছাগল চেনে, মানুষ চিনে না।

যেহেতু জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে তাই মানুষ না চিনলে ও হবে।  সুতরাং তাদের লাইসেন্স দেওয়া যায়।’
পেশাদার লাইসেন্স পেতে হলে পুলিশি সত্যাসত্য যাচাই লাগে, নানান আনুষ্ঠানিকতা করতে হয়। চোর না ডাকাতকে লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে, সেটা কে ঠিক করবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নৌমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চালকদের চিনি। কারণ আমি এক সময় ড়্রাইবার ছিলাম। তারা ভালো না খারাপ আমি তা জানি।

যেমন আমি মাদারীপুর ইউনিয়নের সব চালককেই তো চিনি।’

মন্ত্রী বলেন, ন্যূনতম পরীক্ষা নেওয়ার কথা তারাও বলেন, তবে বিআরটিএ সেটা নেয় না।
একই সঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সব দুর্ঘটনার জন্য চালকদের ঢালাওভাবে দায়ী করবেন না।
টক শোতে নৌমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যাঁরা কথা বলেন তিনি তাঁদের তাঁর সামনে এসে কথা বলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘আমার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন? আমার নৈতিকতা খুবই উন্নত। আমি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনে কাজ  করছি এর চেয়ে মহাত কাজ আর কি হতে পারে ’
সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে এক সাংবাদিক শাজাহান খানকে ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ থেকে না পেয়ে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করেছেন কি না, এমন প্রশ্ন করলে তিনি মাথায় তেল মালিশ করে ক্ষিপ্ত হয়ে বেরিয়ে যান।

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান